TEEN টিন: আকাশে উড়ব একদিন (মে ২০২১, ঈদ সংখ্যা) #৫ বেস্টসেলার ইসলামি ম্যাগাজিন |TEEN TIN: One day I will fly in the sky (May 2021, Eid iss

TEEN টিন: আকাশে উড়ব একদিন (মে ২০২১, ঈদ সংখ্যা)
#৫ বেস্টসেলার ইসলামি ম্যাগাজিন
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
বিষয় : ইসলামি ম্যাগাজিন, শিশু কিশোরদের বই
পৃষ্ঠা : 64, কভার : পেপার ব্যাক
Imge


পৃষ্ঠা ধরণঃ সম্পূর্ণ রঙিন প্রাসঙ্গিক ছবি সংযুক্ত (55gsm নিউজপ্রিন্ট) ‘Teen-টিন : আকাশে উড়ব একদিন’ একটি কিশোরিয়ান মাসিক মুদ্রিত ম্যাগাজিন। টিন-এর প্রথম সংখ্যা, মে’ ২০২১ সাজানো হয়েছে ঈদুল ফিতরের নানা রঙিন ঘটনার ঘনঘটাকে ঘিরে। স্কুল-কলেজ তথা কৈশোরের যাপিত সেরা কোনো ঈদ নিয়ে স্মৃতিচারণ করাই মূলত আমাদের প্রথম সংখ্যার উদ্দেশ্য।

প্রথম সংখ্যায় বিষয়বস্তু হিসেবে থাকছে:

* ঈদে যত কাণ্ড [ঈদের দিন অদ্ভুত কোনো কিছু ঘটেছে এমন ঘটনাবলী]

* ঈদ নিয়ে কিশোর কাব্য [ঈদ নিয়ে ছড়া, কবিতা]

* ঈদ রেসিপি

* ঈদ হাসি

* ঈদ গল্প

* দুঃখীদের ঈদ [সমাজের নিম্নবর্গের লোকদের জীবনে কৈশোরের ঈদ কথন]

এছাড়াও ঈদ নিয়ে আরো আবেগঘন স্মৃতিচারণ রয়েছে TEEN-টিন – এর ঈদ সংখ্যায়। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।

           তাবিজ ইয়াছির 

                      মিশুক । লেখক

এখনকার বাচ্চারা বয়সে যতটা বড় হয়, নিজেদেরকে তার চেয়েও অনেক বড় ভাবে। রিফাত ছেলেটাকেই দেখো। সবে পঞ্চম শ্রেণি পার হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে, এখনই সে নিজের ঈদের কাপড় নিজে পছন্দ করা শুরু করে দিয়েছে!

আমারা যখন ছোট ছিলাম কখনো পছন্দ করা তো দূরে থাক মার্কেটেই যাওয়া হতো না। বাবা যেই জামাটা নিজে পছন্দ করে কিনে আনতেন, সেটাই মহা আনন্দে ঈদের দিন পরতাম। এবার নাকি ঈদের বাজারে নতুন ফ্যাশনের পাঞ্জাবি-পাজামা উঠেছে। রিফাত বায়না ধরেছে সেসব

পাঞ্জাবি-পাজামাই তাকে কিনে দিতে হবে। দিতে হবে মানে দিতেই হবে।

ঈদ বলে কথা। কোনো বাবা-ই চায় না ঈদে তার সন্তান অখুশি থাকুক। রিফাতের বাবাও তাই। ছেলের খুশির কথা চিন্তা করে তার পছন্দের পাঞ্জাবি-পাজামাটাই কিনে দিলেন।

ঈদের তখন তিন দিন বাকি। রিফাতের যেন তর সইছে না। প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে নতুন পাঞ্জাবি-পাজামা ট্রাংক থেকে বের করে দেখে, আর ভাবে ঈদটা একটু জলদি এলে কী হয়?

ঈদের দিন সকালে সবাই গোসল সেরে নতুন জামাকাপড় পরে তৈরি হয়ে নিচ্ছে ঈদগাহে যাওয়ার জন্য। রিফাতও নতুন পাঞ্জাবি-পাজামা বের করেছে। পাজামা পরতে গিয়ে দেখে তাতে ফিতে নেই। রিফাত পড়ে গেল মহা মুশকিলে। এখন যদি তার বাবা জানতে পারে পাজামায় ফিতে নেই তাহলে খুব রাগ করবে। কারণ এই পাঞ্জাবি-পাজামা সে নিজে পছন্দ করে। কিনেছে, তার বাবার মত ছিল না।

রিফাত পড়ল মহা সংকটে। বকা খাওয়ার ভয়ে সে কিছু বলতেও পারছে না, আবার পাজামা পরতেও পারছে না। হঠাৎ তার মাথায় চমৎকার একটি বুদ্ধি খেলে গেল। লুঙ্গি যেভাবে গিঁট দেয় পাজামাতে সেভাবে গিট দিয়ে কোনমতে পরে নিল। বিপদের সময় এমন কার্যকর একটি বুদ্ধি মাথায় আসায়, রিফাত মনে মনে নিজের প্রশংসা না করে পারল না।

ঈদগাহের পাশে নানা রকম খেলনা আর খাবারের দোকান বসেছে। রিফাত আর তার সমবয়সী ছেলেরা ঘুরে ঘুরে খেলনার দোকানগুলো দেখছিল। যখন নামাজ শুরু হয় তখন তারা দৌড়ে গিয়ে কাতারের একপাশে দাঁড়ায়।

সবকিছু ঠিকই ছিল, বিপত্তি ঘটে

রুকুতে যাওয়ার সময়, রিফাতের

পাজামার গিটটা যায় খুলে। ঝটপট

এক হাত দিয়ে পাজামাটা ধরে ফেলে সে। নইলে কি লজ্জাই না পেতে হত ভরা মাঠে।

এক হাতে পাজামা চেপে ধরেই সবার সাথে ঈদের নামাজ শেষ করে রিফাত। নামাজ শেষ তার বন্ধু হাসানকে সবকিছু খুলে বলল। হাসান ছেলেটা বুদ্ধিমান। উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করতে উস্তাদ সে। রিফাতের সমস্যার কথা শুনে এক মিনিটের মধ্যেই দারুণ একটি উপায় বের করে দিল।

হাসানের কোমরে একটা তাবিজ বাঁধা ছিল। ছোটবেলায় তার ঘনঘন অসুখ হত। একটা অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটা অসুখে ধরত। তখন তাবিজটা তার দাদা কোন ফকিরের কাছ থেকে যেন এনে দিয়েছিল। এই তাবিজ থাকলে নাকি তার ওপর কোনো বিপদ-আপদ আসবে না। সেই তাবিজ কোমর থেকে খুলে, তাবিজের সুতা দিয়ে বেল্টের মতো করে রিফাতের পাজামা বেঁধে দেয় সে। ব্যস, সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। রিফাত বললে, তুই যে তোর তাবিজ খুললি, এখন যদি তোর কোনো ক্ষতি হয়ে যায়?

হাসান বলল, সমস্যা নেই, তাবিজটা এখন পকেটে রাখব, কোমরে থাকা আর পকেটে থাকা একি কথা। বাড়িতে

ঈদের আর চার-পাঁচ দিন বাকি। আকবর আলী দুপুরেই ঘরে ফিরল। আজ সকাল থেকে অনেক ঘুরেও ৬০ টাকার বেশি জোটেনি। এটা দিয়ে কিছু চাল আর আলু কিনে ঘরে ফিরেছে সে সামনের দিনগুলোতেও কাজ পাবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে গেছে, সবাই গ্রামে ছুটেছে। সবার ঈদ নিয়ে কত আয়োজন। আর এই দিকে তার চিন্তা, সামনে খাওয়াবে বউ-বাচ্চাকে। ঘরের সামনে বসে হতাশ দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকাল আকবর আলী। ঝুমুর বাইরে খেলছিল। হঠাৎ তার বাবাকে দেখে দৌড়ে এল।

-আব্বা আইজ এত জলদি? (আকাশের দিকে তাকিয়েই)-হ। কাম নাই আইজ।

-(খুশি হয়ে)-আইজ তাইলে তোমার হাতে মেলা সময়! চলো জামা কিনতে যাই।

–টেকা নাইরে মা।

-না না, আমি কিছু শুনমু না। এতদিন

সময় আছিল না, আইজ যাইতেই হইবো।

-আহ, জিদ করিস না। আমরা গরিব মানুষ, আমাগো আবার কীয়ের নতুন জামা আর কীয়ের ঈদ?

-না না। ঝিলিকের বাপে

ওরে নতুন জামা কিননা দিছে। আমারেও দেও । ওরাও তো গরিব আমারে দেও, আমারে দেও, দিতেই হইবো।

আকবর আলীর মেজাজ বিগড়ে গেল। সে সশব্দে একটা চড় বসিয়ে দিল ঝুমুরের গালে। ঝুমুর ছিটকে পড়ল মাটিতে।

বিকেল হয়ে এল, ঝুমুর এখনো কান্না করছে মাটিতে বসে। আকবর আলীর খুব মায়া হচ্ছে মেয়েটার জন্য। কিন্তু তাকে সান্তনা দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই তার। এলেজার অবশ্য এসব সয়ে গেছে। সে জানে, এই কান্না একটা সময় ঠিক থেমে যাবে।

আকবর আলী শেষ সম্বল ৫০ টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেল। সন্ধ্যায় বেগুনি, পেঁয়াজু আর ছোলা মাথা নিয়ে ঘরে ফিরল। সব একসাথে নিয়ে মুড়ি দিয়ে

আরো পড়তে অথবা দেখতে অনুগ্রহ করে Hardcopy ক্রয় করুন |we Respect Every AuthorHardwork-boipaw team| 



Tags : bangla tutorial,bangla current affairs,rgj bangla,how to convert word to pdf bangla,pdf,word to pdf,bangla book pdf,hs bangla mcq pdf,hs bangla saq pdf,bangla word to pdf,ms word to pdf bangla,bangla question pdf,bangla pdf book download,quran shikkha bangla pdf,bangla movie,crate pdf file in bangla,bangla cartoon,how to make pdf file bangla,pdf convert bangla tutorial,bangla book pdf free download,bangla,bangla word file to pdf converter, bangla pdf book download,bangla book pdf free download,pdf,bangla book pdf,bangla,bangla tutorial,bangla current affairs,hs bengali question paper 2022 pdf download,class 11 bengali question 2022 pdf download,how to download bangla book pdf free,r s agarwal gs bangla pdf download exam guruji,r s agarwal general science bangla pdf download,how to convert word to pdf bangla,free download,how to download free pdf bangla and english book,download bangla board boi

Next Post Previous Post