কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

 কিশমিশ, যা খেজুর বা কিশমিস নামেও পরিচিত, শুকনো আঙুরের ফল যা অত্যন্ত মিষ্টি এবং পুষ্টিকর। এটি আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে সূর্যের আলোতে বা ডিহাইড্রেটর ব্যবহার করে শুকানো হতে পারে। এই ছোট্ট শক্তিশালী পুষ্টির উৎস বিভিন্ন আকার, রঙ এবং স্বাদের হতে পারে।

আরো পড়ুন:   সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা | kaju Badam

কিশমিশে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান অনেকটা পরিমাণে থাকে। এটির চিবানোর মতো টেক্সচার এবং দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার হয়ে আসছে। শুকনো আঙুরের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, যেমন আয়রন স্তর বৃদ্ধি, হজম সহায়তা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ইত্যাদি। তবে, যেকোনো খাবারের মতো কিশমিশও মাঝারি পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এর মধ্যে অনেক বেশি চিনির পরিমাণ থাকে।

এখন কিশমিশের পুষ্টিগত মূল্য, বিভিন্ন ধরনের কিশমিশ, এবং এর কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দিক নিয়ে বিস্তারিত জানবো।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়



কিশমিশের পুষ্টিগত মান

কিশমিশ আঙুর শুকিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি পুষ্টির ঘন উৎস। এতে ফাইবার, প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ), এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। এছাড়া এতে পলিফেনল, অ্যানথোসায়ানিন এবং ফ্ল্যাভোনল নামক স্বাস্থ্য উপকারী যৌগও থাকে।

একটি ১০০ গ্রাম কিশমিশে প্রায় ৩০১ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, এবং এতে ১৪.৯ গ্রাম পানি থাকে। ১০০ গ্রাম কিশমিশে যে সমস্ত পুষ্টি উপাদান থাকে, তা নিচে দেওয়া হলো:

পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
কার্বোহাইড্রেট ৮০ গ্রাম
প্রোটিন ৩.২৮ গ্রাম
ফাইবার ৩.৩ গ্রাম
চর্বি ০.২ গ্রাম
চিনি ৬৫.৭ গ্রাম
ভিটামিন E ০.১২ মিগ্রা
ভিটামিন C ৩.২ মিগ্রা
ভিটামিন K ৩.৫ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন B9 ৩ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন B6 ০.৩২৩ মিগ্রা
ভিটামিন B3 ১.১৪ মিগ্রা
ভিটামিন B2 ০.১৯১ মিগ্রা
ভিটামিন B1 ০.০০৮ মিগ্রা
ক্যালসিয়াম ৬৪ মিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭৪৬ মিগ্রাম
সোডিয়াম ২৪ মিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৩৫ মিগ্রাম
ফসফরাস ১০১ মিগ্রাম
আয়রন ০.৯৮ মিগ্রাম
কপার ০.২২৮ মিগ্রাম
জিঙ্ক ০.৩৭ মিগ্রাম
সেলেনিয়াম ০.৭ মাইক্রোগ্রাম

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

১. হজমে সহায়তা

কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে, যা হজমের জন্য খুবই উপকারী। ফাইবারের কারণে কিশমিশ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কিশমিশে প্রাকৃতিকভাবে ল্যাক্সেটিভ (মৃদু হজমকারক) গুণ রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার রাখে।

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

কিশমিশে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি, যা সোডিয়ামের (যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে) প্রভাব নিরপেক্ষ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩. দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি

কিশমিশে ভিটামিন C এবং A থাকে, যা চোখের কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া পলিফেনল নামক এক উপাদান চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৪. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি

কিশমিশে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা বোরণ নামক খনিজও হাড়ের গঠন এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৫. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল শরীরের অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. ওজন কমাতে সাহায্য

কিশমিশে ফাইবার এবং প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

৭. এসিডিটি এবং ব্লোটিং কমায়

কিশমিশ অ্যালকালাইন (অম্লতা কমানোর) গুণের কারণে এসিডিটি সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা উপাদানগুলি পেটের অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যার ফলে এসিড রিফ্লাক্স এবং হার্টবার্নের মতো সমস্যা কমে যায়।

৮. রক্তাল্পতা প্রতিরোধ

কালো কিশমিশে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৯. দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ

কিশমিশে ওলিওনলিক অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে এবং দাঁত সুরক্ষিত রাখে।

১০. হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো

কিশমিশে থাকা সলিউবল ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল LDL কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কিসমিস খাওয়ার  অপকারিতা

কিশমিশ সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু মানুষ শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন, যেমন:

  • মুখ চুলকানো
  • বমি
  • ডায়রিয়া
  • শ্বাসকষ্ট
  • জ্বর

অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে শরীরের অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ হতে পারে। যদি কিশমিশ খাওয়ার পর কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

শুকনো কিশমিশ (কিসমিস) খেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা হতে পারে, তবে এটি খাওয়ার সময় কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। চলুন, শুকনো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা এবং কিছু সতর্কতা নিয়ে বিস্তারিত জানি:

উপকারিতা:

  1. হজম শক্তি বৃদ্ধি: শুকনো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।

  2. শক্তি বৃদ্ধি: শুকনো কিশমিশে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ) থাকে, যা তৎক্ষণাৎ শক্তি প্রদান করে। তাই সকালে বা শারীরিক পরিশ্রমের আগে শুকনো কিশমিশ খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তির স্তর বৃদ্ধি পেতে পারে।

  3. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শুকনো কিশমিশে ভিটামিন C, E, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে কাজ করে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

  4. অ্যানেøমিয়া প্রতিরোধ: শুকনো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।

  5. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: শুকনো কিশমিশে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

  6. ত্বক ও চুলের উন্নতি: শুকনো কিশমিশে ভিটামিন C এবং ই থাকে, যা ত্বক এবং চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের গ্লোসকে বাড়াতে পারে।

সতর্কতা:

  1. চিনি এবং ক্যালোরি: শুকনো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে চিনি (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ) থাকে, তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ হতে পারে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে ওজন বৃদ্ধি বা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

  2. পেটের অস্বস্তি: কিছু মানুষের পক্ষে শুকনো কিশমিশ খাওয়ার পর গ্যাস বা পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে, বিশেষত যারা অম্লতা বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন।

  3. অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব: শুকনো কিশমিশ খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অধিক পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা, যেমন পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে।

শুকনো কিশমিশ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। এটি শক্তি প্রদান, হজম সহায়তা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বক এবং চুলের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। তবে, অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে এর শর্করা ও ক্যালোরি পরিমাণের কারণে ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। তাই, যদি আপনি শুকনো কিশমিশ খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে এটি সুষম পরিমাণে এবং আপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী খাওয়া উচিত।


উপসংহার

কিশমিশ ছোট হলেও একটি পুষ্টিকর শক্তির উৎস। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার শরীরের নানা উপকারে আসে। এটি হজম সহায়তা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হাড়ের শক্তি বাড়ানো ইত্যাদি নানা উপকারিতায় সহায়ক। তবে, কিশমিশ খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিমিত পরিমাণে খেলে এর সব উপকারিতা পাওয়া যায়।


কিসমিস নিয়ে FAQ (প্রশ্নোত্তর)

কিসমিস খেলে কি মোটা হয়?

কিশমিশ (কিসমিস) খেলে মোটা হওয়া নির্ভর করে কতটা এবং কীভাবে এটি খাওয়া হচ্ছে তার উপর। কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনি এবং ক্যালোরি থাকে, তবে এটি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজেও সমৃদ্ধ। এর ফলে এটি কিছু ক্ষেত্রে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, যেমন শক্তি বৃদ্ধি, হজম উন্নতি এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুল।

তবে, কিশমিশে অনেক পরিমাণ শর্করা (চিনি) থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। যদি আপনি বেশি পরিমাণ কিশমিশ খান, বিশেষ করে যদি এটি অন্য অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবারের সাথে খাওয়া হয়, তাহলে এটি শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করতে পারে এবং মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

তবে, কিশমিশ খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কিশমিশ এবং অন্যান্য স্ন্যাকস খাওয়ার মাধ্যমে সুস্থ ওজন বজায় রাখা সম্ভব।

অতএব, কিশমিশ খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা যদি পরিমাণে অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তবে সুষমভাবে ও নিয়মিত পরিমাণে খেলে এটি উপকারী হতে পারে।

কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়?

কিশমিশ (কিসমিস) খাওয়া ত্বককে আরও উজ্জ্বল এবং সুস্থ রাখতে সহায়ক হতে পারে, তবে এটি সরাসরি ত্বককে ফর্সা করার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। কিশমিশে ভিটামিন C, ভিটামিন E এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের কোষের পুনর্গঠন, ক্ষত এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং দীপ্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, তবে ত্বকের রঙ ফর্সা হওয়ার জন্য কেবল কিশমিশ খাওয়াই যথেষ্ট নয়।

ফর্সা ত্বক পেতে একটি সুস্থ জীবনযাপন, সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি পান, সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং ভালো ত্বক যত্নের অভ্যাস গ্রহণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তবে যদি আপনার ত্বকের রঙ বা কোনো ত্বকের সমস্যা নিয়ে বিশেষ কিছু চিন্তা থাকে, তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়?

সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে, তবে এটি কিছু মানুষের জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা এবং সতর্কতা:

উপকারিতা:

  1. হজমে সহায়তা: কিশমিশে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার ফলে আপনার হজমব্যবস্থা আরও সক্রিয় হতে পারে, বিশেষ করে সকালে এটি খেলে এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

  2. শক্তি বৃদ্ধি: কিশমিশে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ) থাকে, যা শরীরকে তৎক্ষণাত শক্তি প্রদান করে। সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে আপনি তাজা এবং প্রাণবন্ত অনুভব করতে পারেন।

  3. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কিশমিশে ভিটামিন C, E এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে।

  4. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: কিশমিশে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে।

সতর্কতা:

  1. শর্করা এবং ক্যালোরি: কিশমিশে অনেক পরিমাণ শর্করা থাকে, তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরে বেশি ক্যালোরি জমে যেতে পারে। খালি পেটে খেলে কখনো কখনো রক্তের শর্করা স্তর দ্রুত বাড়তে পারে, যা ডায়াবেটিস বা ওজন বাড়ানোর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

  2. পেটের অস্বস্তি: কিছু মানুষের জন্য খালি পেটে কিশমিশ খাওয়ার ফলে পেটে অস্বস্তি বা গ্যাস হতে পারে, বিশেষ করে যারা আগে থেকে পেটের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন।


Disclaimer: এই তথ্য কিশমিশের (কিসমিস) স্বাস্থ্য উপকারিতার সাধারণ গাইড। এটি পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয় এবং গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা পরামর্শ নিতে একজন যোগ্য স্বাস্থ্য পেশাদারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।



tags: bangla natok,bangla new natok,bangla natok 2022,bangla news,natok bangla,bangla cartoon,bangla song,bangla new natok 2022,bangla news today,latest bangla news,bangla tv news,all bangla news,bangla,bangla news live,new bangla natok,bangla animation,bangla news update,bangla golpo,bangla status,bangla stores,new natok bangla 2022,bangla natok 2022 new,poster bangla natok,bangla movie,bangla funny facebook post,bangla animation golpo

Next Post Previous Post