পায়ের তলায় খড়ম pdf লেখক হুমায়ূন আহমেদ বই | Payer Tolay Khorom By Humayun Ahmed [পিডিএফ]

PDF Book Specification

Titleপায়ের তলায় খড়ম
Authorহুমায়ূন আহমেদ
Publisherঅন্যপ্রকাশ
Qualityহার্ডকভার
ISBN9789845020602
Edition2nd Published, 2012
Number of Pages96
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
পায়ের তলায় খড়ম একটি আত্মজীবনী মুলক জনপ্রিয় উপন্যাস যা অন্যপ্রকাশ দ্বারা ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং পায়ের তলায় খড়ম বইটি রচনা করেছেন প্রজন্মের লেখক হুমায়ূন আহমেদ। মূল কাহিনি হলো মেহের আফরোজ শাওন ছোটবেলায় ইস্তাম্বুলে কামাল আতাতুর্কের জন্মদিনে নাচতে গিয়েছিলেন সেখানে। জন্মদিন উপলক্ষে সারা বিশ্বের শিশুদের নিয়ে নাচ-গানের আয়োজন করে ঐ কর্তৃপক্ষ । সেই সুবাদে শাওন নির্বাচিত হন সেখানে তাকে থাকতে দেওয়া হলো তুর্কি পরিবারের সাথে ঐ পরিবারের মহিলাকে শাওন আন্নি বলে ডাকত। ঔ মরিয়ম নামের মহিলা শাওনকে অনেক আদর করত।

পায়ের তলায় খড়ম pdf লেখক হুমায়ূন আহমেদ বই | Payer Tolay Khorom By Humayun Ahmed [পিডিএফ]
ছবি : পায়ের তলায় খড়ম হুমায়ূন আহমেদ

পায়ের তলায় খড়ম বইটি PDF Download Available ⤵️

হুমায়ূনের ভ্রমন বিষয়ক লেখাগুলো বারবার পড়ার মত। ফার্স্ট নাম ধরে ডাকলাম বলে কিছু মনে কইরেন না। ওনারে আমার বন্ধুর মতই লাগে। আর বন্ধুগো তো মানুষ ফার্স্ট নাম ধরেই ডাকে, না কি? 

তো অনেক বছর আগে ওনার একটা ভ্রমন সমগ্র হাতে আসছিলো আমার। 'ভ্রমনসমগ্র' তে মোট গ্রন্থ ছিলো ৬টা। বইটাতে সূচিপত্র সম্ভবত উল্টো দিক থেকে সাজানো হইছে। মানে সর্বশেষ বইটা লিস্টের প্রথমে রাখছে প্রকাশক। লিস্টিটা এই রকম:
পায়ের তলায় খড়ম
রাবণের দেশে আমি ও আমরা
দেখা না-দেখা
যশোহা বৃক্ষের দেশ
মে ফ্লাওয়ার
হোটেল গ্রেভার ইন
আমার ধারণা এর থেকে ঢের বেশি ভ্রমণ বিষয়ক লেখাটেখা আছে উনার। খাটাখাটুনি করে এক জায়গায় আনার উদ্যোগ নেয়া হই নাই এখনো।

তো যাই হোক, 'পায়ের তলায় খড়ম' নিয়ে কিছু বলি।
ভ্রমন শুরু হইছে তুরস্ক দিয়া। এই উছিলায় কবুল করে রাখি, তুরস্ক ভ্রমনের ইচ্ছা আমারও ম্যালাদিনের। কোন বিশেষ কারণ নাই, তবে মনে হয় ওরহান পামুকে'র পাঠক হওয়াটারে একটা কারণ বলা যাইতে পারে। তবে হুমায়ূনের তুরস্ক ভ্রমনের প্রধান কারণ হলো শাওনরে চমকাইয়া দেয়া। একটা ঘটনা ধইরা ভ্রমনের সূত্রপাত। সেই ঘটনা খোলাশা করলাম না। পাঠকে জন্য জমা থাকুক। 
পুরা ভ্রমনের টাইম হুমায়ূন তুরস্কর একটা মাত্র জায়গাতেই কাটাইছেন। সেই জায়গাটা হইলো অটমান সাম্রাজ্যের সুলতানদের রাজপ্রাসাদ টপিক্যাল প্যালেসে, তাও প্যালেসের যেই অংশটায় হারেম ছিলো, সেই অংশটায়। ক্যান? আছে একটা, না, ঠিক একটা না অনেকগুলি গল্প।

তরুস্কের নানা বিষয় জানার জন্য হুমায়ূন কিছু বই কিনছিলো, তার মধ্যে পামুকের 'ইস্তাম্বুল: স্মৃতির শহর' একটা। পামুকের এই বইটার অনুবাদ করেছেন মঞ্জু ভাই (আনোয়া হোসেন মঞ্জু); বইটা এই বছর নতুন করে বাতিঘর চট্টগ্রাম থেকে বের হইছে। আগ্রহীরা দেখতে পারেন। বইটা আমি অনেক বছর আগে পড়ছিলাম। অসাধারণ একটা বই! 
যাই হোক, এর পরের কয়টা কাহিনি আমরিকা ভ্রমনের। শুরু হইছে লসঅ্যাঞ্জেলস ভ্রমনের গল্প দিয়া। আর এই ভ্রমন শুরু হইছে এলএ নামের একটা কবরখানা বেড়ানোর মধ্যে দিয়ে। 

আমরা জানি আমরিকাতে—এখন আমাগো দেশেও—চেইন শপের ব্যবসা বেশ জমজমাট। খাবারের দোকান, রেস্ট্রুরেন্ট, ব্রান্ডশপ ইত্যাদি তো কমনই, বাট হোয়াট এ্যাবাউট চেইন গ্রেভইয়ার্ড! 
প্রথম দিনই তারা বেড়াতে যায় 'ফস্টার লন' নামের এক কবরস্থানে, এইটা যেনতেন কবরস্থান না, এইটা চেইন। সারা আমরিকা জুড়ে এই কবরখানা ছড়ায়ে ছিটায়ে আছে। তবে এলএ'র এই কবরখানার আরো একটা বিশেষত্ব হইলো এইখানে না কি মাইকেল জ্যাকসনকে করব দেয়া হইছে, তবে কোনটা তার কবর কেউ জানে না। পাঠক আপনি যদি কষ্ট করে আরো একটু পড়ন তো কবরখানা সংক্রান্ত হুমায়ূনের মায়ের একটা ইন্টেরেস্টিং ঘটনা জেনে ফেলবেন, তাই আর বললাম না।

এই সফরে হুমায়ূন দুসরা যে জায়গাটায় যায় সেই জায়গাটার নাম 'গ্রিফিতের মানমন্দির', মান মন্দির নিয়াও কিছু বলবো না, পাঠকের পড়ার খাতিরে ছেড়ে দিলাম। এরপর তারা যায় 'ডিজনিল্যান্ডে'। এরপরে 'ইনিভার্সেল স্টিুডিও'তে। এরপরে হুমায়ূনরা আমরিকার যে জায়গাটায় গিয়েছিলো, সেই জায়গা সর্ম্পকে আমরিকার বিখ্যাত—আমার খুবই প্রিয় একজন রাইটার—মার্ক টোয়েনে'র বলছে— ঘোর নাস্তিকও যদি এখানে আসে, সেও ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে। সুতরাং নাস্তিক ভাই/ব্রাদাররা, ট্রাই করতে পারেন।  তো জায়গাটার নাম কি? 
এই জায়গাটাকেই 'ঈশ্বরের দীর্ঘশ্বাস' হিসেবে আরেক মহাত্বা আমরিকান লেখক জন স্টেইনবেক নাম দিছেন। জায়গাটার নাম কিন্তু বলবো না। 
প্রিয় পাঠক এর মধ্যে কিন্তু আরো ঘটনা ঘটতেছে। আমি বিস্তারিত বলবো না, শর্ট করতেছি। শেষ করবো আইসল্যান্ড বাসিদের একটি অতি প্রিয় খাবারের রেসিপি দিয়ে। রেসিপি পরে দেই, আগে খাবারের নামটা বলি, Piss Haj (বাংলায়: মূত্র হাঙ্গর)। কি বুঝলেন!! 

হুমায়ূনের আইসল্যান্ড যাওয়ার কাহিনি শুরু হয় 'রাইস মিল গেলা'র মধ্যে দিয়ে। এখন জিগাইতে পারেন 'রাইস মিল গেলা' কি জিনিস? ভাই/বইন, এইটাও কমু না, যদি বেশি জানতে ইচ্ছে করে তো পইড়া লইয়েন। 
তো রাইস মিল গিলতে হুমায়ূন স্বপরিবারে মাসুদ আখন্দ নামের এক বাংলাদেশি প্রতিভাবান পোলার দাওয়াত কবুল করে প্রথমে সুইডেন গিয়ে হাজির হয়। পোলাটা প্রতিভাবান কেন? কারন সে মাল্টিচ্যানেল পারসোনালিটি বৈশিষ্ট্যর অধিকারী। মাল্টিচ্যানেল পারসোনালিটি কি জিনিস? কমু না। 
সুইডেনের এয়ারপোর্ট নাইমাই হুমায়ূনের অনুভূতি হয়, এখানে কেন এলাম! তখন বাইরে তাপমাত্রা মাইনাস কুড়ি ডিগ্ররি নিচে। বুঝেন অবস্থা!

পরিবেশ মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। সুইডেনের মানুষদের উপরও শীতের প্রভাব হইছে বিচিত্র রকমের। প্রতি বছর একটা বড় সংখ্যার তরুন-তরুনীরা শীতের কঠিন আক্রমনের সময়ে ঘর ছাড়ে। চলে যায় আরো গভীরে, আরো শীতের দিকে। তারপর জামা কাপড় খুলে নগ্ন হয়ে যায়, ভদকা খায়, গিটার বাজিয়ে গান গায়, আর এক সময়ে ঠান্ডায় জমে মারা যায়। শীতকে আলিঙ্গন করে স্বেচ্ছামৃত্যু! সরকরি হিসেবে ২০১১ সলে এই রকমের মৃতের সংখ্যা ৫০০। এই সংখ্যা না কি প্রতিবছর বাড়তেছে। হাউ স্যাড! কি ভায়বহ!
ওরা আমগো দেশের চৈ মাসে সময় আইয়া পরলেই পারে কিন্তু! :(
তো শীতের এই আড়ষ্ঠতা কাটাইতেই হুমায়ূন সুইডেন থেকে স্বপরিবারে একটা ১২ তলার জাহাজে করে জলপথে আইসল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। হুমায়ূনের ভাষ্যে, আইসল্যান্ড পৌছলাম, কিন্তু জাহাজ থেকে নামলাম না। কেন? এইখানেই, প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য দিচ্ছি আইসল্যান্ডের অধিবাসিদের প্রিয় খাবার মূত্র হাঙ্গরের রেসিপি।
খাবারের নাম: Piss Haj (মূত্র হাঙ্গর)

রন্ধন প্রনালী: তিন ফুটের মত গর্ত খুড়ে কিছু তাজা হাঙ্গর মাছ রাখুন। বরফ দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিদিন একবার দল বেধে মাছ ঢাকার স্থানে উপস্থিত হোন, এবং সব্বাই মিলে গর্তের ভেতরে মূত্র ত্যাগ করুন। এই ভাবে নিরবিচ্ছিন্ন এক মাস পার করে গর্ত খুড়ে মাছগুলো বের করে নিন। ডিনারে হোয়াইট ওয়াইনের সাথে হাঙ্গর মাছ পরিবেশন করুন। প্রয়োজনে সামান্য লবন ছিটানো যেতে পারে, তবে লবন ছাড়াই এই মাছ সুস্বাদু। কারণ মূত্র থেকে মাছগুলো উতিমধ্যেই প্রয়োজন অনুযায়ী লবনাক্ত হয়ে গেছে!
বইটা পড়তে গিয়ে কয়েকটা বইয়ের নাম পাইছি। বইপাও এর সাথে তালিকটা শেয়ার করলাম:
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র by ইব্রাহীম খা
সুলতানের শহর by শাকুর মজিদ
ইস্তাম্বুল: স্মৃতির শহর by ওরহান পামুক
ভ্যাগবন্ড by নুট হ্যামসূন (এই লেখক না কি হুমায়ূনের দশজন প্রিয় লেখকের মধ্যে একজন, সত্যি বলতেছি, হুমায়ূন নিজে বলছে আমারে। 

দি সিক্রেট হিস্ট্রি অব ড্রিমিং by রবার্ট মস
এক নায়ে তিনজন by জেরম কে জেরম
২০০১: এ স্পেস অডিসি by আর্থার সি র্ক্লাক
সাইনিং by স্টিফেন কিং
ল্যারি নিভেন নামের আরো একজন লেখকের নামও আছে, যার কিনা একটা সাইফাই উপন্যাস আছে সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা একটা গ্রহ নিয়ে লেখা, যেখানে মানুষের তৈরি বরফসভ্যতার কথা অপূর্ব ভঙ্গিতে বলা হইছে, কিন্তু হুমায়ূন উপন্যাসটার নাম বলেন নাই। দু:খের ব্যাপার!
আর পাইছি দুইজন চিত্র পরিচালকের নাম।
সত্যজিৎ রায়
স্টানলি কুবরিক
আরো পাইছি তিনজন বাঙ্গালি লেখকের সর্ম্পকে অদরকারী তথ্য। যথা—
র্শীষেন্দু মুখোপাধ্যায় না কি স্বপাক আহার কারেন, তিনি অন্যের হাতের রান্না খান না।

আর গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের একটা প্রাসাদের মত বাড়ি আছে, সেইটা ডেনভারে। তার স্ত্রীর নাম পূরবী বসু, তিনিও লেখক। ওই বাড়িতে গল্পকার, তার স্ত্রী, তাদের পুত্র এবং বাবলস নামে একটা কুকুর বসবাস করতো। হুমায়ূন জোতিপ্রকাশ দত্তের পোলার নাম বলেন নাই, কিন্তু কুত্তাটার নাম বলছে; কুত্তাটা অবস্য জেরম কে জেরমের বিখ্যাত উপন্যাস 'এক নায়ে তিনজন' একটা ক্যারেকটার। এই জন্য মনে হয়। যদিও পরে কুকুরটা হাড়িয়ে যায়।
বইটা পড়ার এক পর্যায়ে আপনি এলাচি বেগম নামের এক মহিলার সাথে পরিচিত হবেন। এই মহিলা না কি আমরিকা থিকা পায়ে হাইটা—তাও খালি পায়ে—বরিশাল রওয়ানা দিছিলো। পরে পুলিশ তারে বাসা থিকা ২৩ মাইল দূরে খুজে পাইছে। তিনি না কি রাস্তা দিয়া হাটছে আর একটু পর পর লোকজনরে জিগাইছে বরিশাল কুন দিকে? বাবা, বরিশাল কুন দিকে?
জীবনের ঘটনা সমূহ বড়ই বিচিত্র!

বইটা আমি পড়ছিলাম ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে। হালকা এডিট করে গ্রুপের বন্ধুদের জন্য নিবেদন করলাম।

পায়ের তলায় খড়ম বই রিভিউ ২ এবং পিডিএফ ডাউনলোড

পায়ের তলায় সর্ষে অর্থ হলো ঘুরে বেড়ানো। যার পায়ের নিচে সর্ষে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভ্রমণকাহিনির সংকলনের নাম- ‘পায়ের তলায় সর্ষে’। তিনি খুব বেড়াতে পছন্দ করেন। বছরের ছয় মাসই থাকেন দেশের বাইরে।

আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে বের করেছি আমার পায়ের নিচে সর্ষে নেই। আমার ভালো লাগে অতি পরিচিত গণ্ডি এবং পরিবেশে নিজেকে আটকে রাখতে। কাজেই আমার পায়ের নিচে সর্ষে নেই, আছে খড়ম। বউলাওয়ালা খড়ম, যা পায়ে নিয়ে হাঁটা একটি কষ্টকর প্রক্রিয়া। আমার ভ্রমণকাহিনির নাম এই কারণেই ‘পায়ের তলায় খড়ম’।

 এই ঘটনা জানার পরে হুমায়ূন মনস্থির করেন শাওনকে নিয়ে যাবেন সেখানে.....অবশেষে ২৫ বছর পর যান । যাওয়ার পরে দেখেন তার আন্নি আর বেঁচে নেই।

লেখক ভ্রমণের কাহিনিটা অত্যন্ত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

Click Here To Download PDF Payer Tolay Khorom



Tags : bangla tutorial,bangla current affairs,rgj bangla,how to convert word to pdf bangla,pdf,word to pdf,bangla book pdf,hs bangla mcq pdf,hs bangla saq pdf,bangla word to pdf,ms word to pdf bangla,bangla question pdf,bangla pdf book download,quran shikkha bangla pdf,bangla movie,crate pdf file in bangla,bangla cartoon,how to make pdf file bangla,pdf convert bangla tutorial,bangla book pdf free download,bangla,bangla word file to pdf converter, bangla pdf book download,bangla book pdf free download,pdf,bangla book pdf,bangla,bangla tutorial,bangla current affairs,hs bengali question paper 2022 pdf download,class 11 bengali question 2022 pdf download,how to download bangla book pdf free,r s agarwal gs bangla pdf download exam guruji,r s agarwal general science bangla pdf download,how to convert word to pdf bangla,free download,how to download free pdf bangla and english book,download bangla board boi

Next Post Previous Post