- বই : ফ্যাক্টফুলনেস
- লেখক : হেন্স রোসলিং
- প্রকাশনী : গ্রন্থরাজ্য
- বিষয় : আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
- অনুবাদক : লুৎফুল কায়সার
- পৃষ্ঠা : 216, কভার : হার্ড কভার
- আইএসবিএন : 9789849639961, ভাষা : বাংলা
পৃথিবী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন? মিডিয়াগুলো যা দেখায় সেটুকুই, তাই না? পশ্চিমা দেশগুলো অন্যদের নিয়ে কতোটুকু ভাবে? তাদের সেই ধারণা কতোটা সত্য? প্রকৃত পক্ষেই কি পৃথিবীর অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে ? শেষ হয়ে যাচ্ছে মানবতা ? উন্নতি তো হচ্ছেই না বরং চারদিকে শুধু অবনতি?
পশ্চিমা মিডিয়া চায় এটাই সবাই বিশ্বাস করুক। ডা. হ্যান্স রোজলিং তার সারাজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখিয়েছেন সেই প্রকৃত বাস্তবতা যা কোনো সংবাদমাধ্যম আপমাকে দেখাবে না। নিজেদের অজান্তেই উন্নতি করছি আমরা, কিন্তু সংবাদমাধ্যম আমাদের ফেলে রাখছে হতাশার চোরাবালিতে। আপনি কী সত্য জানতে চান? তবে চোখ বন্ধ করে তুলে নিন বইটি। অনেকের মতে এটি বিংশ শতাব্দীর সেরা ননফিকশন বই।
আমি কেন সার্কাস পছন্দ করি?
সার্কাস আমার খুবই ভালো লাগে। মানুষকে কেটে দু-ভাগ করা, দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটা, সিংহের সাথে নানান ভাঁড়ামি এসব দেখতে বেশ মজা। অসম্ভব কোনো ব্যাপারকে চোখের সামনে সম্ভবে পরিণত হতে দেখতে কার না ভালো লাগে?
ছোটবেলায় আমার ইচ্ছা ছিল সার্কাসে কাজ করব। কিন্তু মা-বাবার ইচ্ছা ছিল 'তথাকথিত' উচ্চ শিক্ষায় আমাকে শিক্ষিত করার, যা তারা পাননি। তাই সেই ইচ্ছার কাছে হার মেনে চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়তে হলো। মেডিকেল কলেজের সেই দিনগুলো!
একদিন বিকালের কথা। অধ্যাপক আমাদের মানুষের গলার ভিতরের ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কে বোঝাচ্ছেন। তো উনি বলছিলেন, “ গলায় যদি কিছু আটকে যায়, তবে সেই রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য বুকের হাড়কে সামনের দিকে চাপ দেওয়া যেতে পারে।” তারপর আমাদেরকে একটা এক্সরে দেখালেন।
চমকে উঠলাম আমি। আরেহ, ছোটবেলার স্বপ্নের কিছুটা ছোঁয়া এখনও আমার ভিতরে আছে। ছোটবলাতে একবার হুট করেই আবিষ্কার করলাম যে, নিজের গলার অনেকটা ভিতরে আমি আঙুল ঢুকাতে পারি এবং কোনোপ্রকার বমির ভাব হয় না। তখন খুব একটা খুশি হতে পারিনি, কারণ সম্ভবত ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝিনি। কিন্তু এখন বুঝি, ভালোমতো চেষ্টা করলে তো আমিও সার্কাসে কাজ করতে পারতাম, ওভাবে তলোয়ার গিলে ফেলতে পারতাম ।
তারপর? তারপর আর কী। ভাবলাম একটু অভ্যাস করেই দেখি তলোয়ার আমার ছিল না, তাই মাছ ধরার বড়শি দিয়ে চেষ্টা করে চললাম। রাতে ঘুমানোর আগে বাথরুমে প্রতিরাতে চলত এই কসরৎ। কোনোমতেই এক ইঞ্চির বেশি গিলতে পারতাম না। আবার সার্কাসে কাজ করার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হলো।
তিন বছর পর, আমি তখন ডাক্তার হয়ে গেছি। ভালোই রোগী আসত আমার কাছে। তো ওদের মধ্যে একজনের খুব বাজে ধরনের কাশি হয়েছিল। ওনাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে কী করেন। উনি জানালেন যে সার্কাসে তলোয়ার গেলার কাজ করতেন। আমি তো হতবাক! একটু প্রশ্ন করতেই জানতে পারলাম যে ইনিই সেই তলোয়ার গিলে ফেলা লোকটা যার এক্সরে অধ্যাপক আমাদের দেখিয়েছিলেন এবং একটু আগে আপনারাও দেখেছেন। পুরো অভিভূত হয়ে গেলাম। ওনাকে খুলে বললাম যে আমি বড়শি দিয়ে কত চেষ্টা করেছি। লোক হেসে বললেন, “ডাক্তার সাহেব, আপনি কি জানেন না গলার ভিতরটা সমতল? তাই সমতল জিনিস দিয়ে ওই খেল দেখালে তেমন সমস্যা হয় না । এজন্যই আমরা তলোয়ার গিলি।”
সেদিন রাতেই স্যুপ তোলার একটা হাতা নিয়ে বেশ ভালোই কসরৎ করে অনেকটা গিলে ফেললাম। পরের দিন খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দিলাম, আর কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে গেলাম যেটা খুঁজছিলাম। একটা বেয়নেট যা ১৮০৯ সালে সুইডিশ সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ওটাকে বেশ ভালো করেই গিলতে পারলাম। কী যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝাতে পারব না ।
মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতার শেষে আমি মানুষকে দেখাতে লাগলাম আমার অদ্ভুত কলা। সবার সামনে যখন বেয়নেট গিলতাম ওদের মুখভঙ্গি হতো দেখার মতো।
Tags : bangla tutorial,bangla current affairs,rgj bangla,how to convert word to pdf bangla,pdf,word to pdf,bangla book pdf,hs bangla mcq pdf,hs bangla saq pdf,bangla word to pdf,ms word to pdf bangla,bangla question pdf,bangla pdf book download,quran shikkha bangla pdf,bangla movie,crate pdf file in bangla,bangla cartoon,how to make pdf file bangla,pdf convert bangla tutorial,bangla book pdf free download,bangla,bangla word file to pdf converter, bangla pdf book download,bangla book pdf free download,pdf,bangla book pdf,bangla,bangla tutorial,bangla current affairs,hs bengali question paper 2022 pdf download,class 11 bengali question 2022 pdf download,how to download bangla book pdf free,r s agarwal gs bangla pdf download exam guruji,r s agarwal general science bangla pdf download,how to convert word to pdf bangla,free download,how to download free pdf bangla and english book,download bangla board boi