প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf download | prachin banglar itihas

4.6/5 - (5 votes)

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf download | prachin banglar itihas book pdf. প্রাচীন বাংলার ইতিহাস নিয়ে কিছু বইয়ের পিডিএফ অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ আপনারা যারা বাংলার প্রাচীন ইতিহাস জানতে চান, তাদের জন্য বইগুলো খুবুই গুরুত্ত্বপূর্ণ ৷ সুতরাং আমাদের সাথেই থাকুন ৷

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf download

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf download | prachin banglar itihas

বইঃ বাংলাদেশের ইতিহাস PDF

বইঃ বাংলাদেশের ইতিহাস
লেখকঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার
প্রকাশনীঃ দিব্য প্রকাশ
ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(PDF)

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বই pdf download

বঙ্গ

এই প্রাচীন জনপদ বর্তমানকালের দক্ষিণ ও পূর্ব্ববঙ্গ লইয়া গঠিত ছিল । সাধারণত পশ্চিমে ভাগীরথী , উত্তরে পদ্মা , পূর্ব্বে ব্রহ্মপুত্র ও দক্ষিণে সমুদ্র ইহার সীমারেখা ছিল , কিন্তু কোনও কোনও সময় যে ইহা পশ্চিমে কপিশা নদী ও পুর্ব্বে ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব্বতীর পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাহার প্রমাণ আছে । শিলালিপিতে ‘ বিক্রমপুর ’ ও ‘ নাব্য ’ – প্রাচীন বঙ্গের এই দুইটি ভাগের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । বিক্রমপুর এখনও সুপরিচিত ।

নাব্য সম্ভবত বরিশাল ও ফরিদপুরের জলবহুল নিম্নভূমির নাম ছিল , কারণ এই অঞ্চলে নৌকাই যাতায়াতের প্রধান উপায় । সমতট ও হরিকেল কখনও সমগ্র বঙ্গ এবং কখনও ইহার অংশ বিশেষের নামস্বরূপ ব্যবহৃত হইত । হেমচন্দ্র তাঁহার অভিধানচিন্তামণি গ্রন্থে বঙ্গ ও হরিকেল একার্থবোধক বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু মঞ্জুশ্রীমূলকল্প নামক বৌদ্ধগ্রন্থে হরিকেল , সমতট ও বঙ্গ ভিন্ন ভিন্ন ভূখণ্ডের নাম । অপর দিকে হুয়েন সাং সমতটের যে বর্ণনা করিয়াছেন তাহাতে ইহাকে বঙ্গদেশের সহিত অভিন্ন বলিয়াই মনে হয় । বঙ্গাল – দেশও বঙ্গের এক অংশেরই নামান্তর ।

ইহার বিষয় পূর্ব্বেই আলোচিত হইয়াছে । চন্দ্রদ্বীপ বঙ্গের অন্তর্গত আর একটি প্রসিদ্ধ জনপদ । ইহা মধ্যযুগের সুপ্রসিদ্ধ ‘ ব’কলা ‘ হইতে অভিন্ন এবং বাখরগঞ্জ জিলায় অবস্থিত ছিল । বৃহৎসংহিতায় উপবঙ্গ নামক জনপদের উল্লেখ আছে । ষোড়শ অথবা সপ্তদশ শতাব্দীতে রচিত দিগ্বিজয়প্রকাশ নামক গ্রন্থে যশোহর ও নিকটবর্ত্তী ‘ কানন ’ প্রদেশ উপবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে ।

পুঞ্জ ও বরেন্দ্রী

পুণ্ড্র একটি প্রাচীন জাতির নাম । ইহারা উত্তরবঙ্গে বাস করিত বলিয়া এই অঞ্চল পুণ্ড্রদেশ ও পুণ্ড্রবর্দ্ধন নামে খ্যাত ছিল । এককালে পুণ্ডু বৰ্দ্ধন নামক ভুক্তি ( দেশের সর্ব্বোচ্চ শাসনবিভাগ ) গঙ্গা নদীর পূর্ব্বভাগে স্থিত বর্ত্তমান বাংলা দেশের প্রায় সমস্ত ভূখণ্ডই বুঝাইত — অর্থাৎ রাজসাহী , প্রেসিডেন্সি , ঢাকা ও চট্টগ্রাম , বাংলার এই চারিটি বিভাগ কোন না কোন সময়ে পুণ্ড্রবর্দ্ধন ভুক্তির অন্তর্গত ছিল । পুণ্ড্রদেশের রাজধানীর নামও ছিল পুণ্ড্র বর্দ্ধন ।

প্রাচীন কালে ইহা একটি প্রসিদ্ধ নগরী ছিল । বগুড়ার সাত মাইল দূরে অৰস্থিত মহাস্থানগড়ই প্রাচীন পুণ্ড্রবর্দ্ধন নগরীর ধ্বংসাবশেষ বলিয়া পণ্ডিতেরা অনুমান করেন , কারণ মৌর্য যুগের একখানি শিলালিপিতে এই স্থানটি পুণ্ড্রনগরী বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে । বরেন্দ্র অথবা বরেন্দ্রী উত্তরবঙ্গের আর একটি সুপ্রসিদ্ধ নাম । বামচরিত কাব্যে বরেন্দ্রীমণ্ডল গঙ্গা ও করতোয়া নদের মধ্যে অবস্থিত বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে ।

রাঢ়া

ভাগীরথীর পশ্চিম তীরস্থিত রাঢ় অথবা রাঢ়াদেশ উত্তর ও দক্ষিণরাঢ়া এই দুই ভাগে বিভক্ত ছিল । অজয় নদী এই দুই ভাগের সীমারেখা ছিল । রাঢ়াভূমি দক্ষিণে দামোদর এবং সম্ভবত রূপনারায়ণ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । কোনও প্রাচীন গ্রন্থে গঙ্গার উত্তর ভাগও রাঢ়াদেশের অন্তর্ভুক্ত বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে । কিন্তু সাধারণত বাঢ়াদেশ গঙ্গাবক্ষে ও পশ্চিমভাগেই সীমাবদ্ধ ছিল । রাঢ়ার অপর একটি নাম শুহ্ম । রাঢ়ার দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর অঞ্চলে তাম্রলিপ্তি ও দণ্ডভুক্তি এই দুইটি দেশ অবস্থিত ছিল । তাম্রলিপ্তি বর্তমান কালের তমলুক এবং দণ্ডভুক্তি সম্ভবত দাতন ৷ এই দুইটি ক্ষুদ্র দেশ অনেক সময় বঙ্গ অথবা রাঢ়াব অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইত ।

গৌড়

গৌড় নামটি সুপরিচিত হইলেও ইহার অবস্থিতি সম্বন্ধে সঠিক কোন ধারণা করা যায় না । পাণিনি – সূত্রে গৌড়পুরেব এবং কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্রে গৌড়িক স্বর্ণের উল্লেখ আছে । হয় । হইতে গৌড় নামক নগরী অথবা দেশের প্রাচীনত্ব প্রমাণিত হয় কিন্তু বাংলাদেশের কোন্ অংশ গৌড় নামে অভিহিত হইত তাহার নির্ণয় করা যায় না । খুব সম্ভবত মুর্শিদাবাদ অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র বিভাগ প্রথমে গৌড় – বিষয় ( জিলা ) নামে পরিচিত ছিল । এই বিষয়টির নাম হইতেই গৌড়দেশ এই নামের উৎপত্তি হইয়াছে । শিলালিপির প্রমাণ হইতে অনুমিত হয় যে ষষ্ঠ শতাব্দীতে এই দেশ সমুদ্রের নিকটে ছিল ।

সপ্তম শতাব্দীতে মুর্শিদাবাদের নিকটবর্ত্তী কর্ণসুবর্ণ গৌড়ের রাজধানী ছিল এবং এই দেশের রাজা শশাঙ্ক বিহার ও উড়িষ্যা জয় করিয়াছিলেন । সম্ভবত এই সময় হইতেই গৌড় নামটি প্রসিদ্ধি লাভ করে । প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটকে রাঢ়াপুরী গৌড়ের অন্তর্গত বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে । মুসলমান যুগের প্রারম্ভে মালদহ জিলার লক্ষ্মণাবতী গৌড় নামে অভিহিত হইত । বাংলার পরাক্রান্ত পাল ও সেন রাজগণের গৌড়েশ্বর এই উপাধি ছিল । হিন্দুযুগের শেষ আমলে বাংলা..বই থেকে সংগ্রীহিত

Download Now prachin banglar itihas book pdf

Download Ebook

  • বাংলাদেশের ইতিহাস বইটির লেখক কে?

    উত্তরঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার ৷

  • বইটির প্রকাশনির নামকি?

    উত্তরঃ দিব্য প্রকাশ ৷

The post প্রাচীন বাংলার ইতিহাস pdf download | prachin banglar itihas appeared first on PDFPORO.



Tags : bangla tutorial,bangla current affairs,rgj bangla,how to convert word to pdf bangla,pdf,word to pdf,bangla book pdf,hs bangla mcq pdf,hs bangla saq pdf,bangla word to pdf,ms word to pdf bangla,bangla question pdf,bangla pdf book download,quran shikkha bangla pdf,bangla movie,crate pdf file in bangla,bangla cartoon,how to make pdf file bangla,pdf convert bangla tutorial,bangla book pdf free download,bangla,bangla word file to pdf converter, bangla pdf book download,bangla book pdf free download,pdf,bangla book pdf,bangla,bangla tutorial,bangla current affairs,hs bengali question paper 2022 pdf download,class 11 bengali question 2022 pdf download,how to download bangla book pdf free,r s agarwal gs bangla pdf download exam guruji,r s agarwal general science bangla pdf download,how to convert word to pdf bangla,free download,how to download free pdf bangla and english book,download bangla board boi

Next Post Previous Post