The Shaytan Brioc By Sumaiya Matin

সুমাইয়া যখন দেশ ছেড়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ছয় বছর। সেটা ১৯৯১ সাল। তাঁর বাবা-মা অভিবাসী হয়ে চলে আসেন ক্যানাডাতে। সুমাইয়ার বাবা তড়িৎ প্রকৌশলী ছিলেন। ঢাকাতে যথেষ্ট ভালো চাকরি করতেন তিনি।  স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ভালো একটা জীবন যাপন করতেন। ফলে সেখানে বসবাস করেই সন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। ক্যানাডাতে অভিবাসী হয়ে আসার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ খুব কমই ছিলো। এর পরিবর্তে তাঁর তখন সুযোগ এসেছিলো মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি করার। 



সেটাকেই গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সুমাইয়ার মায়ের আগ্রহ এবং তাঁর বড় মামার প্রণোদনাতে। সুমাইয়ার এই বড় মামা তাঁর সব বোনদের যে কোনো পারিবারিক বিষয়েই সিদ্ধান্ত দিতেন। পরিবারে তাঁর কর্তৃত্ব ছিলো একচ্ছত্র। বোনেরা এই কর্তৃত্ব মেনে নিতো এইজন্য যে তিনিই মূলত ওই পরিবারটাকে শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন। 

তিনি না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাদের পরিবার হয়তো টিকেও থাকতেও পারতো না। যেহেতু তারা পশ্চিম বঙ্গ থেকে আসা উর্দুভাষী মুসলমান ছিলেন। তবে, বাংলাটাও জানতেন তারা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা উর্দুভাষী মুসলমান হিসাবে যুদ্ধের সময়ে দুই দিক থেকেই বিপদের সম্মুখীন ছিলেন তারা। সুমাইয়ার বড় মামা যুদ্ধ শুরু হবার পরপরই পরিবারের সবাইকে ভারতে নিয়ে গিয়েছিলেন বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে।

ক্যানাডাতে আসার পরে প্রথম তারা যান থান্ডার বে-তে। ওখানে সুমাইয়ার এক খালা থাকতেন। থান্ডার বে শহরটা নতুন অভিবাসীদের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক জায়গা না। ছোট্ট একটা শহর, বাঙালিদের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোণা। কাজকর্মেরও সুযোগ নেই বললেই চলে। তার উপরে ভয়ংকর ঠাণ্ডা ওখানে। ফলে, ছয় মাসের মাথায় তাঁরা চলে আসেন টরন্টোতে। ঠাঁই হয় নর্থ ইয়র্কের অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকা লরেন্স হাইটে। এই এলাকাটাকে জঙ্গল হিসাবে অভিহিত করে এখানকার অধিবাসীরা।

অন্য সব অভিবাসীদের মতো সুমাইয়ার বাবা-মায়েরও সংগ্রামের এক জীবন শুরু হয় ক্যানাডাতে। শিক্ষিত অভিবাসীদের ক্যানাডাতে আসার আগে যে স্বপ্ন থাকে, সেই স্বপ্ন সাধারণত রাতারাতি ধূলিসাৎ হয়ে যায় এই সমাজে পা রাখার সাথে সাথেই। ভিন্ন একটা দেশে এসে নতুন করে জীবন শুরু করা সহজ কোনো কাজ নয়। নতুন সংস্কৃতি, নতুন সমাজব্যবস্থার সাথে  খাপ খাইয়ে নেওয়াটা একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসাবে আসে। দেশের শিক্ষা সনদ এবং কাজের অভিজ্ঞতা কোনো কাজেই আসে না এখানে চাকরি পাবার জন্য। ক্যানাডিয়ান নিয়োগদাতারা এখানকার শিক্ষা সনদ খোঁজে, স্থানীয় অভিজ্ঞতাকে চাকরির পূর্ব শর্ত হিসাবে চাপিয়ে দেয়। এর ফলাফল হিসাবে শিক্ষিত নতুন অভিবাসীরা এক চরম অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। টিকে থাকার জন্য অড জব করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় থাকে না তাদের হাতে। ক্যানাডিয়ান সমাজে নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য বেশি খানিকটা সময় এবং বাড়তি প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। সেটাও সহজে করা যায় না। এর জন্য আপনাকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে। সেটা তেমন কঠিন কাজ না। কঠিন কাজ হচ্ছে পড়াশোনার সময়ে সংসার চালানো নিয়ে। দেশ থেকে যে টাকা তারা নিয়ে আসে, সেটা দিয়ে খুব বেশিদিন ক্যানাডাতে বসে বসে খাওয়া যায় না। সংসার চালানোর জন্য কাজেও নামা লাগে এ কারণে। সেটা যে কোনো ধরনেরই কাজ হোক না কেনো। সুমাইয়ার বাবা-মাও অন্য অভিবাসীদের মতো অড জবে নেমে পড়েন হতাশ হয়ে।

লরেন্স হাইটের জঙ্গলেই শুরু হয় সুমাইয়ার স্কুল জীবন। ছোট্ট সুমাইয়ার জন্যেও সেটা আরেক চ্যালেঞ্জ। এমন একটা স্কুলে সে যাচ্ছে যেখানকার ভাষা তার জানা নেই। বাংলাদেশের মতো সবাই দেখতে এক রকম না, এক ধরনের গাত্র বর্ণ না। নানা দেশের, নানা গাত্র বর্ণের ছেলেমেয়েরা সেখানে রয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি না জানলে স্কুলেও বুলিয়িং এর শিকার হতে হয়। সুমাইয়াকেও সেটা হতে হয়েছে। তবে, তার বাবা-মায়ের মতো সুমাইয়ার সংগ্রাম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বাচ্চারা সাধারণত নতুন ভাষা রপ্ত করে ফেলে দ্রুত গতিতে। নতুন সংস্কৃতিকেও তারা গ্রহণ করে একই দ্রুততায়।

বাচ্চাদের এই নতুন সংস্কৃতি দ্রুত গ্রহণ করাটা আবার পছন্দ হয় না তাদের বাবা-মায়ের, বিশেষ করে রক্ষণশীল যারা। তারা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য এলেও নিজেরা স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে তেমন একটা মেশেন না। নিজের দেশের বা সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মেলামেশার একটা কোকুন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তারা। এ জন্য অবশ্য তাদেরকে দোষও দেওয়া যায় না সেভাবে। ওটাই তাদের কমফোর্ট জোন। কিন্তু, বাচ্চারা নতুন দেশের নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হচ্ছে স্কুলে যাবার মাধ্যমে। ফলে, তারা ককুনের মধ্যে থাকতে চাইবে না, এটা স্বাভাবিক। ফলে, দুই প্রজন্মের মধ্যে অনিবার্য এক টানাপোড়ন শুরু হয়।

সুমাইয়ার ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়ে এসেছিলো তাঁর বাবা-মায়ের অতিরিক্ত ধর্মপ্রীতির কারণে। সুমাইয়ার বাবা তাবলীগ জামাতের সাথে যুক্ত ছিলেন। মা-ও অনেক বেশি ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হতেন। একই সঙ্গে ছিলো নানা ধরনের কুসংস্কার এবং একদেশদর্শিতাও। যে কারণে মেয়ে বড় হবার সাথে সাথে তারা অনিরাপদবোধ করতে শুরু করেন। স্কুলে কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সুমাইয়ার বাবা গিয়ে হাজির হতো সামান্য দেরি দেখলে। এমনকি ক্লাস করার সময়ও বাবা বাইরে দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে মেয়ের দিকে নজর রাখতো।

এই নজরদারিতে অবশ্য তেমন কোনো লাভ হয়নি। স্কুলে থাকার সময়েই সুমাইয়া প্রেমে পড়ে যায় এক পাঞ্জাবি ছেলের। এই ছেলের নাম ভব। ভব নিজেও একটা অভিবাসী পরিবার থেকে এসেছে। তার বাবা-মা এক ছাদের নিচে বসবাস করলেও দু'জনের মধ্যে কথাবার্তারও কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের ঘরে অসংখ্য সমস্যা মোকাবেলা করেও সুমাইয়াকে জান-প্রাণ দিয়ে ভালবাসে সে। ভিন্ন জাতি এবং ভিন্ন ধর্মের ছেলে ভবকে তাঁর বাবা-মা কিছুতেই মেনে নেবে না বলে এই সম্পর্ককে গোপন রাখেন সুমাইয়া। সমস্যা হচ্ছে এ ধরনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন গোপন রাখা সম্ভব নয়। হাই স্কুল পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার সাথেই সুমাইয়ার বাবা-মা জেনে যায় সুমাইয়ার এই সম্পর্কের কথা।

চাপ দিয়েও যখন এই সম্পর্ককে ছিন্ন করা যাচ্ছিলো না, তখন দেশে বেড়াতে যাবার নাম করে সুমাইয়াকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তাঁর মা। দেশে এনেই আটকে ফেলা হয় সুমাইয়াকে। সেখানে বড় একটা ভূমিকা পালন করে তাঁর বড় মামা এবং খালারা। ক্যানাডায় কারো সাথে সে যাতে যোগাযোগ করতে না পারে এ কারণে তাঁর হাত থেকে সমস্ত ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি চলতে থাকে পাত্র দেখানোর মিশন। মামা, খালা এবং মায়ের প্রতিনিয়ত চাপের মুখে এক ছেলের সাথে দেখা করতে যান সুমাইয়া। সেই ছেলে পক্ষ তাঁকে পছন্দও করে ফেলে  তাঁকে। বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। 

ওই সময়ে এক কাজিনের ফোন ব্যবহার করে ভবকে সংক্ষিপ্ত সংবাদ পাঠান সুমাইয়া। সুমাইয়ার সংবাদের ভিত্তিকে একশনে নামে ভব। সুমাইয়ার অনিচ্ছাতে তারা পরিবার তাঁকে আটকে রেখেছে, জোর করে তাঁর বিয়ে দিচ্ছে, এটা ক্যানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় সে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার ক্যানাডিয়ান হাই কমিশন বিষয়টা জানতে পারে। তারা সুমাইয়ার সাথে দেখা করে। সুমাইয়ার সম্মতির ভিত্তিতে বিয়ে হবার আগে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানাডাতে পাঠিয়ে দেয় তারা।

সুমাইয়া মতিন তাঁর জীবনের এই অংশটা প্রকাশ করেছেন একটা বইতে। সেটার নাম হচ্ছে 'দ্য শয়তান ব্রাইড'। এই স্মৃতিকথাতে তিনি তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহকে প্রকাশ করেছেন। সেখানে উঠে এসেছে তাঁর বাংলাদেশ এবং ক্যানাডার জীবন। দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী কারো লেখা স্মৃতিকথা পড়ার অভিজ্ঞতা এটাই আমার প্রথম।

এই অভিজ্ঞতাটা অবশ্য বেশ কার্যকর এক অভিজ্ঞতা হিসাবেই এসেছে আমার জন্য। আমি নিজে প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী। আমার সন্তান দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। সুমাইয়া যে বয়সে ক্যানাডাতে এসেছে, আমার ছেলেও ঠিক একই বয়সে আমাদের সাথে ক্যানাডাতে এসেছে। ফলে, ভিন্ন একটা দেশের তাদের দু'জনের যাত্রাটা প্রায় একই রকমের। সুমাইয়ার বাবা-মায়ের সংগ্রামের ইতিহাসটাও আমাদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত, অনেকটা কার্বন কপির মতোই।

এখানেই অবশ্য শেষ না। সুমাইয়ার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে আমাদের নিজেদের অভিবাসী জীবনের দারুণ মিল রয়েছে। সুমাইয়ারা শুরুতে এসেছে থান্ডার বে-তে। আমি চাকরি সূত্রে ওই শহরে কিছু দিন ছিলাম। ফলে, পরিচিত শহর ওটা আমার। এর পরে সুমাইয়ার আসল জীবন শুরু হয়েছিলো নর্থ ইয়র্কে। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের শুরুটাও নর্থ ইয়র্ক থেকেই। সেটা অবশ্য সুমাইয়ার যাত্রা শুরুর দশ বছর পরে। আমার ছেলে সুমাইয়ার বয়সেই ওখানে স্কুলে গিয়েছে। এর বাইরে আরও একটা জায়গা পরিচিত আমার জন্য। সুমাইয়া মাস্টার্স করেছেন উইন্ডজর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমরা পাঁচ বছর ওই শহরে ছিলাম। নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত আমি ওই শহরের সাথে। সুমাইয়ার জীবন যাত্রার প্রতিটা শহরের সাথে আমার নিজেরও স্মৃতি জড়িত রয়েছে বলে তাঁর স্মৃতিকথাটা অতিরিক্ত আনন্দ দিয়েছে আমাকে। অনেক বেশি সম্পৃক্ত আমি বোধ করেছি ওটা পড়ার সময়ে।

আমরা যারা প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী, তাদের প্রায় সবারই ধারণা যে নতুন একটা দেশে নতুন করে জীবন শুরু করতে গিয়ে আমরা বড় ধরনের এক চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করি। প্রতি মুহূর্তে ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে  প্রান্তে থাকতে হয় আমাদের। এখানকার সংস্কৃতি না বোঝার কারণে মূল স্রোতের বাইরেও থাকা লাগে জীবনের বেশিরভাগ সময়টা।   আমাদের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জটা থাকে না, যেহেতু তারা স্থানীয় স্কুলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা করে। 

কিন্তু, আমাদের চেয়েও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আরো বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, সেটা আমরা খুব একটা ভেবে দেখি না। আমাদের প্রজন্ম ভাষাগত সীমাবদ্ধতা, অচেনা সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে হিমশিম খাবার পরেও নিজেদের রক্ষা করতে পারে খুব সহজেই। ভিন দেশে থেকেও বাংলাদেশি বলয়ের একটা কোকুন তারা তৈরি করে নিয়েছে। সেই কোকুনের মধ্যেই মূলত বসবাস করি আমরা। এটা অনেকটা শুঁয়োপোকার গুটির মধ্যে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকার মতো। নতুন প্রজন্মের এই সুযোগটা নেই। না পারে তারা বাবা-মায়ের সাথে সহজভাবে মিশতে, না পারে পুরোপুরি ক্যানাডিয়ান হয়ে যেতে। তারা না ঘরকা না ঘটকা। বাংলাদেশে ওদের শিকড় নেই, নেই এমন কোনো স্মৃতি যেটা দিয়ে বাংলাদেশকে অনুভব করতে পারে তারা, ভাবতে পারে আপন কিছু। আবার মূলস্রোতেও তারা মিশে যেতে পারে না বাবা-মায়ের কারণে। বাবা-মা পিছন থেকে দড়ি ধরে রাখে। একটা সীমার বাইরে যাতে তারা যেতে না পারে। এরকম একটা দ্বন্দ্বমূখর পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় থাকে এই প্রজন্ম। পরিচয় নিয়েও সমস্যা তৈরি হয় তাদের মধ্যে। তারা আসলে কী? বাংলাদেশি নাকি ক্যানাডিয়ান? সুমাইয়াও এর ব্যতিক্রম কিছু না। দুই সংস্কৃতির দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে বিভ্রান্তিময় একটা সময় কেটেছে তাঁর।

তবে, সেই বিভ্রান্তির মধ্যেও সাহস দেখিয়েছেন সুমাইয়া। পিছনে বাঁধা দড়িটাকে কেটে মুক্ত বিহঙ্গ হবার চেষ্টা করেছেন। সেই চেষ্টারই কাব্যিক বিবরণ রয়েছে তাঁর 'দ্য শয়তান ব্রাইড' স্মৃতিকথায়।

ভারতীয়দের অনেকেই ইংরেজিতে লেখালেখি করেন। তাদের সঙ্গে তুলনা করলে ইংরেজিতে লেখালেখি করা বাংলাদেশিদের সংখ্যা নগণ্যই বলা চলে। ইংরেজিতে লেখালেখি না করলে, সেই লেখার বিশ্ব দরবারে যাবার সুযোগ অনেকটাই সীমিত হয়ে যায়। সুমাইয়ার মতো আরও অনেক বাংলাদেশি এগিয়ে আসবেন, ইংরেজি ভাষাতে তাঁদের জীবনী লিখবেন, সাহিত্য সাধনা করবেন, সেই আশাবাদ রইলো।


Tags : bangla tutorial,bangla current affairs,rgj bangla,how to convert word to pdf bangla,pdf,word to pdf,bangla book pdf,hs bangla mcq pdf,hs bangla saq pdf,bangla word to pdf,ms word to pdf bangla,bangla question pdf,bangla pdf book download,quran shikkha bangla pdf,bangla movie,crate pdf file in bangla,bangla cartoon,how to make pdf file bangla,pdf convert bangla tutorial,bangla book pdf free download,bangla,bangla word file to pdf converter, bangla pdf book download,bangla book pdf free download,pdf,bangla book pdf,bangla,bangla tutorial,bangla current affairs,hs bengali question paper 2022 pdf download,class 11 bengali question 2022 pdf download,how to download bangla book pdf free,r s agarwal gs bangla pdf download exam guruji,r s agarwal general science bangla pdf download,how to convert word to pdf bangla,free download,how to download free pdf bangla and english book,download bangla board boi

Next Post Previous Post